নেহরু যুব কেন্দ্র, নদীয়া আয়োজন করলো ৩ দিনের বিশেষ কর্মশালা

Advertisement
Advertisement

স্টিং নিউজ সার্ভিস: ভারত সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অধীন নেহরু যুব কেন্দ্র, নদীয়া, “যুব নেতৃত্ব এবং সম্প্রদায় উন্নয়নে”র উপর ৩ দিনের একটি আবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার সিস্টার নিবেদিতা (প্রাঃ) আইটিআই কলেজে ২১-২৩ শে জানুয়ারী পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ চলে। নাকাশিপাড়ার বেজপাড়ার জগদীশ বসু বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় বলে জানা গিয়েছে। নদীয়ার বিভিন্ন ব্লক থেকে ১৫-২৯ বছর বয়সী মোট ৪০ (চল্লিশ) জন যুবক এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

Advertisement

জানা গেছে যে, এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিত্বের বিকাশ করা এবং সমাজের ভালো কাজে নেতৃত্ব দেওয়া এবং সেইসাথে সম্প্রদায়ের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।

Advertisement

নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ব্রজেশ্বর রায় এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। মুড়াগাছা পঞ্চায়েত প্রধান ঝর্ণা মুখার্জি ও উপপ্রধান কিশোর কুমার সরকার, জেলা যুব আধিকারিক রিজভী শাহনাজ রহমান সহ নেহেরু যুব কেন্দ্রের নদীয়ার অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।

সূত্রের খবর, ৩ দিনের প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং যুবকেন্দ্রিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মডেল, ডিজিটাল লিটারেসি এবং আজকের তরুণদের জন্য প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হয়। যোগব্যায়াম, পিটি, ক্যাম্প ফায়ার, গান গাওয়া, খেলাধুলা, মজাদার গেমস ইত্যাদির মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমও এই ৩ দিন প্রশিক্ষণ চলাকালীন নেওয়া হয়।

Advertisement

শেষ দিনে প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত করার পর সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

জেলা যুব আধিকারিক রিজভী শাহনাজ রহমান বলেন, “আমরা আশা করি যে আমরা এই বয়সের যুবকদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে ও ধারণা বিনিময় করতে একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে পেরেছি৷ প্রশিক্ষণের এই দিনগুলি তাদের চলার পথে ও পেশাগত জীবনে অনেক সাহায্য করবে৷ কারো সঙ্গে কথা বলার সময় লজ্জা কমাতে এবং তাদের চরিত্র গঠনে সাহায্য করবে এই প্রশিক্ষণ। এছাড়া তারা যে সম্প্রদায়ে বাস করে তার আরও উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।”

Advertisement

কিশোর কুমার সরকার যিনি জগদীশ বোস বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহ-সভাপতিও, তিনি বলেন, “নেহেরু যুব কেন্দ্রের সাথে কাজ করা খুবই অনন্য অভিজ্ঞতা। আমরা তাদের সাথে কাজ করে সত্যিই আনন্দিত।”

Advertisement