ক্রীড়া চর্চাকেন্দ্র স্পোর্টস ভিলেজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল স্বাধীনতা দিবসে

Advertisement
Advertisement

স্টিং নিউজ সার্ভিসঃ এক জায়গায় সব ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র স্পোর্টস ভিলেজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল স্বাধীনতা দিবসে।


নদীয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরের অদূরে চকদিগনগর গ্রামে দশ বিঘে জায়গা জুড়ে সবুজ গাছগাছালির মনোরম পরিবেশে এমন স্পোর্টস ভিলেজের ভাবনা অনন্য তো বটেই, এরাজ্যে আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ।

Advertisement


একই জায়গায় পূর্বভারতের প্রথম অত্যাধুনিক রোলিং স্কেটিং বেন্ড রিংক, স্যুইমিং পুল, রাইফেল শ্যুটিং রেঞ্জ, তীরন্দাজি, টেবিল টেনিস, খোখো-কাবাডি, ক্যারাটে ইত্যাদির ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত। প্রস্তুতি চলছে লাইব্রেরী, এম্পিথিয়েটার, আর্ট গ্যালারী, বিজ্ঞানকেন্দ্র, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি সহ অন্যান্য নানা বিষয়ের।

এতবড় এই কর্মযজ্ঞের অন্যতম রূপকার যোগেশ রায় আনুষ্ঠানিক উদবোধনের দশ দিন আগেই আকস্মিকভাবে প্রয়াত হন। তার মরদেহ মেডিকেল কলেজে দান করার পরে স্পোর্টস ভিলেজ ট্রাস্টের অন্যান্য ট্রাস্টিরা এতটুকু দমে না গিয়ে তাঁর স্বপ্নকে সফল করে তোলেন।
উদবোধন করেন আইনজীবী সাংসদ, কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর সম্পাদক কান্তি গাঙ্গুলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাঁতারু সায়নি দাস, টেনিস কোচ ভারতী ঘোষ, জেলা ক্রীড়া আধিকারিক গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক রমা বিশ্বাস সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের খরচ বাঁচিয়ে দশ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বহু মানুষ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন।
কিশোর বাহিনী, সব পেয়েছির আসর সহ অন্যান্য বহু সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন জেলা থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
সম্পূর্ণ এই স্পোর্টস ভিলেজ নির্মানের কারিগর শ্রমিকদের বিশেষভাবে সম্মানিত করেন
উদবোধক বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
উদবোধক বলেন, কলকাতা থেকে এত দূরে গ্রামের ভিতরে এমন স্পোর্টস ভিলেজের নির্মান আগামীদিনে ক্রীড়ার বিকাশের সহায়ক হবে।
কান্তি গাঙ্গুলী বলেন, এমন স্পোর্টস ভিলেজের মত পরিকাঠামো আরও গড়ে ওঠা প্রয়োজন। তবেই আরও নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।
জেলা ক্রীড়া আধিকারিক গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলোকে বলব স্পোর্টস ভিলেজের এই পরিকাঠামোকে ব্যবহার করতে।

Advertisement

সাঁতারু সায়নি দাস বলেন, খেললে পড়াশুনোর ক্ষতি হবে, এমন ভাবনা ভুল। একইসাথে খেলাধুলা ও পড়াশুনোয় ভাল হওয়া সম্ভব।
স্পোর্টস ভিলেজের সম্পাদক দীপক রায় স্বাগত ভাষনে বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ধারাবাহিক চর্চাকেন্দ্র হিসাবে সমাজের সব অংশের মানুষ এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।


স্পোর্টস ভিলেজের সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

Advertisement