কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা নাকাশিপাড়ায়

Advertisement
Advertisement

স্টিং নিউজ সার্ভিসঃ বাড়তি পণের দাবি ও কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ঘুমন্ত গৃহবধূর গায়ে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার নাকাশিপাড়ার শালিকগ্রাম এলাকায়। অভিযোগের তীর স্বামী সহ পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর পিতা আকুল মণ্ডল। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই গৃহবধূ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গৃহবধূ সুরজিনা বিবি’র বাড়ি ধুবুলিয়া থানার রুকুনপুর গ্রামে। তিন বছর আগে বিয়ে হয় নাকাশিপাড়া থানা এলাকার শালিকগ্রাম গ্রামের যুবক আজিম সেখের সঙ্গে। বিবাহের সময় পণ দিয়েই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল বলে তার বাবার আকুল মন্ডলের দাবি। বেশ কয়েক মাস থেকে বাড়তি পণ হিসেবে মোটর সাইকেল দাবি করে গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী আজিম সেখ সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এমনই অভিযোগ সুরজিনা’র বাড়ির লোকেদের।

অন্যদিকে, সুরজিনা বিবির কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় অত্যাচার আরও বেড়ে যায় শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে। কন্যা সন্তানের বয়স দশ মাস।

Advertisement

নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন চেয়েছিল তাদের বংশে ছেলে সন্তানের জন্ম হোক। কিন্তু মেয়ে হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ে।

অভিযোগ, বাড়তি পনের দাবি করা টাকা না পাওয়ায় ও কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার রাগে রাত ৮ টা নাগাদ গৃহবধূ সুরজিনা ঘুমিয়ে থাকার সময় স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা মিলে আগুন ধরিয়ে দেয় সুরজিনা গায়ে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত সুরজিনা বিবিকে নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই পরিবারেরই এক সদস্য। দেহের সিংহভাগই পুড়ে যায় তার। এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই গৃহবধূ।

এদিকে নাকাশিপাড়া থানা পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূ সুরজিনা বিবিকে নির্যাতন ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টায় স্বামী সহ পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বাবা আকুল মণ্ডল।

Advertisement

তবে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শ্বশুর বাড়ির কারা কারা গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে? হাসপাতালের বেডে শুয়ে তাও একটি ভিডিওতে সুরজিনা বিবি বলেছেন। সেই ভিডিও স্টিং নিউজ সহ জেলার অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছেও এসেছে।

Advertisement

ঘটনার তদন্তে নেমেছেন নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।

Advertisement