নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করায় তড়িঘড়ি বৈঠকের আয়োজন পূর্ব বর্ধমানে।বুধবার বর্ধমানের বিডিএ হলে বালি নিয়ে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল।
বৈঠকে অবৈধ বালিখাদান,বালিপাচার, ওভারলোড নিয়ে আলোচনা হয়।বিডিও,বিএলআর ও ওসি,আইসিদের কড়া হাতে গোটা বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক ও জেলাপুলিশ সুপার। তবে নজরদারীর অভাব আছে স্বীকার করেন জেলাশাসক। তিনি পরিস্কার জানান সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনী খাদান বন্ধ করা যায় নি। দামোদরে জল কমতেই মেশিন নিয়ে বালি তোলা হচ্ছে রমরমিয়ে। জামালপুর,রায়না,মাধবডিহি,খণ্ডঘোষ সর্বত্রই নদীগর্ভে জেসিবি নিয়ে বালি তোলা হচ্ছে কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। জেলার বিভিন্ন রাস্তাতেও অবাদে চলছে ওভারলোডের বালির গাড়ি।প্রশাসন নিরুত্তাপ। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিভিন্ন থানার ওসি, আইসি, বিডিও এবং ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা।
শান্তিপুরে বিষ মদে মৃত্যুর পর পুলিশ প্রশাসন ও আবগারী দপ্তর নড়েচড়ে বসে ছিল। আর কালনার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে আরও বেশী সক্রিয় হয়ে উঠল জেলা প্রশাসন। বুধবার বর্ধমানের বিডিএ হলে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের পৌরোহিত্য বৈঠক হল।উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী।তিনি জানান আবগারী দপ্তরকে বাদ দিয়েও পুলিশ চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।চোলাইকারবারীদের ধরপাকড়ের পাশাপাশি পুলিশ প্রচুর মদ তৈরীর উপকরণ উদ্ধার করেছে।