নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ রাজার শহরে রাজকন্যা। “এক দো তিনের” গার্ল মাধুরী দীক্ষিত ১১ তম কাঞ্চন উৎসবের উদ্বোধন করলেন। শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দিরের মাঠে দশ দিনের উৎসবের সূচনা হল। হার্টথ্রব তেজাব কন্যা মাধুরীর মাধুর্যে গোটা শহর এদিন ভেঙে পড়েছিল উৎসবের মাঠে।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী তপন দাসগুপ্ত, মন্ত্রী অসীমা পাত্র , সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, সাংসদ ইদ্রিস আলি, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু প্রমুখ। বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিতকে দেখতে এদিন শুধু শহর বর্ধমান নয় বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন কাঞ্চননগরের মাঠে। উৎসবের সভাপতি খোকন দাস আপ্লুত সফল আয়োজনে।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলিউড নায়িকাকে কাছে পেয়ে আবেগ ধরতে রাখতে পারেননি। তিনি জানান, নায়িকার বিখ্যাত সিনেমা দেবদাসের বাড়ি তার বিধানসভা এলাকায়। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তিনি বলেন, কলেজে ফাঁকি দিয়ে যে নায়িকার সিনেমা দেখতে সিনেমা হলের টিকিট কাউন্টারের লম্বা লাইনে দাঁড়াতেন সেই নায়িকা আজ তার পাশের আসনে।হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা মাঠ।
লাস্যময়ী মাধুরী আধা বাংলায় বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি তেজাবের সেই বিখ্যাত নাচ যা আসমুদ্রহিমাচলকে পাগল করে ছিল সেই “এক দো তিন” গানের নাচে কোমর দোলান।যার শেষ, তার সব ভালো। তাই বাঙালি ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে অনুষ্ঠানের শেষ মিষ্টি মুখ তো থাকবেই। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ মিহিদানা দিয়ে দিল তো পাগল হ্যায়ের নায়িকাকে বিদায় জানানো হয়।