Breaking
7 Dec 2025, Sun

করিমপুর ব্লক–২ -এ স্ট্রিটলাইট প্রকল্প ঘিরে পোস্টার বিতর্ক, শাসক–বিরোধীর সংঘাত তীব্র

Advertisement

সমিরণ বিশ্বাস, স্টিং নিউজ, নদিয়া:

নদিয়া জেলার করিমপুর ব্লক–২ এর দিঘলকাঁদি গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘলকাঁদি গ্রামে স্ট্রিটলাইট প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতরাতে বুথ ৭৭ ও ৭৮-এ হঠাৎই কিছু পোস্টার দেখা যায়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—প্রতিটি বুথে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮৫টি স্ট্রিটলাইট “নির্মাণ” করা হয়েছে। এই দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র টানাপোড়েন।

গ্রামের বিজেপির নির্বাচিত সদস্য অভিযোগ করেন, তারা বিজেপির সদস্য হওয়ার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রাখা হচ্ছে। তাদের দাবি, বাস্তবে কোনো স্ট্রিটলাইট লাগানোই হয়নি, অথচ পোস্টারে ‘কাজ সম্পূর্ণ’ বলে ঘোষণা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং ওই সদস্যের স্বামী জানান, তাঁরা বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসে জানাবেন। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথাও বলা হয়।

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দিঘলকাঁদি গ্রাম পঞ্চায়েতে স্ট্রিটলাইট প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। পোস্টার টাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

অভিযোগের জবাবে দিঘলকাঁদি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল স্বীকার করেন যে সাইনবোর্ডে ভুল হয়েছে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দেন।

তাঁর কথায়, “লেখায় ভুল হয়েছে, এটা মানছি। কিন্তু কাজ শুরুর আগে জিও-ট্যাগিং করতে হয়। এখানে কোনো দুর্নীতি নেই।”

তিনি আরও জানান, সময়সূচি ঠিক হলে এবং কাজ শুরু হলে স্থানীয় নির্বাচিত সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সারা বাংলায় যেমন উন্নয়ন হচ্ছে, তেমনই দিঘলকাঁদিতেও হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।


“বিরোধীরা এখানে হওয়া উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না,” মন্তব্য প্রধানের।

কার্তিকবাবু আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি দিঘলকাঁদির মানুষের পাশে আছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Developed by