স্টিং নিউজ সার্ভিস: ওবিসি (অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি) সংরক্ষণ বাতিলের কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার শুনানি আগামী মঙ্গলবার হতে পারে, যদিও এর আগেও শুনানির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু তা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের অবসরের (১০ নভেম্বর) আগে চান, কারণ তার পর শুনানি না হলে মামলাটি আরও পিছিয়ে যেতে পারে। ওবিসি প্রার্থী ও রাজ্য সরকার মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ইনটেলেকচ্যুয়াল অব বেঙ্গল (পিআইবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আশ্বস্ত করেছেন যে, ওবিসিদের সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ৭৭টি কমিউনিটির বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবং তাদের পুনরায় সার্ভে করে আইন মেনে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য অ্যাডভোকেটদের সঙ্গে পরামর্শ চলছে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
এনসিএল (নন-ক্রীমি লেয়ার) সার্টিফিকেট সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এনসিএল সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং যারা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলেও এখনও সার্টিফিকেট পাননি তাদের সহযোগিতা করা হবে। আইনজীবী কপিল সিব্বলকে দিয়ে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে উত্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, প্রধান বিচারপতির অনুমতি পেলে সার্ভে দ্রুত শুরু করা যাবে। সঞ্জয় বনসল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে ৫-৬ মাসের মধ্যে সমস্ত সার্ভে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। মামলার শুনানি দেরিতে হলেও সার্ভে চলমান থাকবে। এনসিএল সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি হচ্ছে, তা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি কোনো অসুবিধাগ্রস্ত ছাত্রের সমস্যা থাকে, তাহলে সেটি তালিকাভুক্ত করে পিআইবি’র মাধ্যমে তাদের জানাতে বলা হয়েছে, যাতে সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করা যায়।
পিআইবি’র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মানাজাত আলি বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মেহেদি হাসান, সেয়্যেদ জাহিরউদ্দিন, ডা. সামসুল হক, ড. নার্সিগ আব্বাসি, ডা. আবদুল লতিফ, সেয়্যেদ মশিউর রহমান, আলমগীর সরদার এবং সাবির আহমেদ।